ইসলাম প্রকৃতিকে একটি মহান সৃষ্টির অংশ হিসেবে গণ্য করে এবং এটি মানব জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, তার সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি:
সৃষ্টির মর্যাদা: ইসলামে প্রকৃতি ও পরিবেশকে আল্লাহর সৃষ্টির একটি চিহ্ন হিসেবে দেখা হয়। কুরআনে উল্লেখ আছে যে, আল্লাহ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং প্রতিটি সৃষ্টির একটি উদ্দেশ্য রয়েছে।
অত্যধিক ব্যবহারের নিষেধ: ইসলামে অপচয় ও অত্যধিক ব্যবহারকে নিষেধ করা হয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে, “এবং তোমরা অপচয়কারী হও না; নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।” (সূরা আল-আরাফ, 31)
পরিবেশের সুরক্ষা: ইসলাম মানুষকে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে ও পরিবেশের সুরক্ষায় সচেষ্ট থাকতে নির্দেশ দেয়। জল, বন, ভূমি, এবং বায়ু—এই সকলের সুরক্ষা ইসলামের নৈতিক দায়িত্ব।
প্রকৃতির প্রতি দায়িত্ব: মুসলিমদের ওপর দায়িত্ব রয়েছে যেন তারা প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি না করেন এবং তাদের সুরক্ষায় কাজ করেন। এতে মানবতার এবং অন্যান্য প্রাণীর উপকারে আসে।
ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি: ইসলামে মানব জীবনকে পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মানব কল্যাণের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ করা আবশ্যক।
পরিবেশ সংরক্ষণের উপায়:
গাছপালা রোপণ: ইসলাম গাছপালা রোপণ করতে উৎসাহিত করে, কারণ এটি পরিবেশের উন্নতিতে সহায়ক।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো এবং এর প্রভাব কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ও কমানোতে উৎসাহ প্রদান।
সচেতনতা বৃদ্ধি: পরিবেশ সুরক্ষায় শিক্ষার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
ইসলাম প্রকৃতির প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে এবং পরিবেশ সংরক্ষণকে একটি নৈতিক এবং ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করে। আমাদের উচিত ইসলামের শিক্ষা অনুসরণ করে প্রকৃতির সুরক্ষা ও সংরক্ষণে কাজ করা, যাতে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।
